এবার গাজায় সাদা ফসফরাস বোমা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহেই এই অভিযোগ করেছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। এ নিয়ে তদন্তও হচ্ছে। এর মধ্যেই এবার লেবাননে সাদা ফসফরাস বোমা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে।
এদিকে লন্ডনভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইট নিউ আরব ডটকম বলছে, মঙ্গলবার ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী লেবাননের দায়রাহ শহরে এই সাদা ফসফরাস বোমা ফেলা হয়। শহরের একজন কাউন্সিল মেম্বার এই তথ্য জানান। এমনকি বেশ কয়েক জন বাসিন্দাও এই দাবি করেছেন।
নিউ আরব ডটকম বলছে, টানা কয়েক ঘণ্টা লেবাননের দায়রাহ শহরে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলার পর বাসিন্দারা শহর ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হন। আলি সাঈদ নামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতেও ফেলা হয়েছে সাদা ফসফরাস। সবাই পালিয়ে যায়। আমরা ঘরে আটকে যাই। ধোয়ার কারণে শ্বাস নিতে পারছিলাম না।’
গাজা এবং লেবাননে ক্রমাগত বোমা হামলা চালিয়েই যাচ্ছে ইসরায়েল। এর মধ্যে রয়েছে সাদা ফসফরাস বোমা। অথচ এই বোমা ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আমেরিকা বিষয়ক প্রধান লামা ফাকিহ বলছেন, ইসরায়েল সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছে কিনা, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
গাজায় সাদা ফসফরাস হামলার বেশ কয়েকটি প্রমাণও পেয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এমনকি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও সাদা ফসফরাসের ব্যবহার দেখা যায়। এই ফসফরাস হামলার জবাবে ইসরায়েলে হামলা করেছে লেবাননের ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। রকেট হামলায় একজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। এর আগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালায় হিজবুল্লাহ।
এদিকে সাদা ফসফরাস মূলত দাহ্য বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি একটি রাসায়নিক পদার্থ। অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে পুড়ে যায়। এটি আর্টিলারি শেল, বোমা এবং রকেটে ব্যবহৃত হয়। সাদা ফসফরাস অক্সিজেনের সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় বিপুল পরিমাণ তাপ উৎপাদন হয়। এর কারণে চামড়া জ্বলে যেতে পারে।